বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

মার্কিন সেনাবাহিনীতে ‘অভূতপূর্ব’ নিয়োগ সংকট 

 

সংগ্রাম ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক কর্মকর্তারা এই বছর সেনাবাহিনীতে নিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার ২৫ শতাংশ পূরণে ব্যর্থ হবেন। মার্কিন সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার নতুন সৈন্যের প্রায় অর্ধেক নিয়োগ দিতে পেরেছে। আগামী পহেলা অক্টোবরের মধ্যে এসব লোকবল সেনাবাহিনীতে নিয়োগের আশা তারা করলেও তা পূরণ হচ্ছে না। কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেছেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে এধরনের অনিচ্ছা বা নি¤œগামী প্রবণতাটি বিপরীত না হয় তবে ভবিষ্যতে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আরটি।

মার্কিন সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ অফ স্টাফ জেনারেল জোসেফ মার্টিন বলেছেন, ‘কোভিড-১৯-পরবর্তী পরিবেশ এবং শ্রমবাজার উভয়ের সাথেই আমরা অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জে পড়েছি, তবে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতাও হচ্ছে যারা সময়ের সাথে তাদের প্রণোদনা পরিবর্তন করেছে।

কার্যত মার্কিন সামরিক বাহিনী নতুন সেনাদের আকৃষ্ট করতে কঠিন সময় পার করছে, এই বছর কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনি¤œ নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়েছে। গত মাসে, পেন্টাগন স্বীকার করেছে যে এটি নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৩ শতাংশ পিছিয়ে ছিল। 

যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সামরিক শাখা জুড়ে সবচেয়ে গুরুতর নিয়োগের সমস্যা দেখা দিয়েছে। অথচ মার্কিন সেনাবাহিনী বর্তমানে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বোনাস অফার করেছে। কিন্তু অনাগ্রহীরা বলছেন এসব সুবিধা অনুশীলনের তুলনায় অনেক কম এবং ৬ বছরে তা অপর্যাপ্ত। ফলে নিয়োগকারীদের এখনও যথেষ্ট স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে পেতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ফলে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ এবছর ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ’তে নেমে আসতে পারে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ তা ৪ লাখ ৪৫ হাজারে নেমে আসার শঙ্কা করা হচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেক্রেটারি ক্রিস্টিন ওয়ার্মুথ বলেছেন, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সূচনার পর থেকে সেনাবাহিনী আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নিয়োগের পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের পর গুণগত মান নিয়েও। বলা হচ্ছে সেনা সংখ্যার চেয়ে গুণগত মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

গত মাসে এনবিসি’র এক জরিপ দেখায় যে ১৭-২৪ বছর বয়সী যোগ্য নাগরিকদের মাত্র ৯ শতাংশ সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি করতে চায়। যা ২০০৭ সালের পর থেকে সর্বনি¤œ সংখ্যা। একই সময়ে, শারীরিকভাবে মার্কিনীদের সামগ্রিক সংখ্যা, মানসিকভাবে, এবং নৈতিকভাবে যোগদানের যোগ্যতা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২৯ থেকে ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। পেন্টাগনের মতে, সামরিক বাহিনীতে যোগদানের ইচ্ছুক সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের শীর্ষ তিনটি কারণ ছিল অর্থ, কলেজের জন্য অর্থ প্রদান এবং ভ্রমণ। ইতিমধ্যে, যোগদানের বিরুদ্ধে শীর্ষ তিনটি কারণ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে আঘাত বা মৃত্যুর ভয়, মানসিক আঘাত, এবং যৌন হয়রানি বা আক্রমণ।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ